রাতের বেলা ত্বক নিজে নিজেই খানিকটা নিরাময়ের কাজ করে। তাই রাতের স্কিন কেয়ার রুটিনের মূল উদ্দ্যেশ্য হল ত্বকের এই প্রক্রিয়াকে আরেকটু বাড়িয়ে দেয়া।
১। ডাবল ক্লিনজিং
ডাবল ক্লিনজার একটি পদ্ধতি যেখানে প্রথমে মুখের মেকআপ, ধুলো, ময়লা সব একটি ক্লিনজিং তেল দিয়ে তুলে ফেলা হয় এবং তারপর হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে আবার মুখ ধুয়ে নিয়ে নেওয়া হয়। যদি আপনি ফেসওয়াশের পরিবর্তে স্ক্রাব ব্যবহার করতে চান তাহলেও আগে মেকআপ তুলে তারপর স্ক্রাবিং করবেন।
২। এসেন্স বুস্টার সেরাম
অনেকে রাত্রিবেলা ত্বককে একটু আলাদা যত্ন করতে চান আর তাই তারা এসেন্স ও বুস্টার ব্যবহার করেন। এই বুস্টারগুলি হল মিস্ট , এসেন্সেস, বিউটি ওয়াটার, হাইড্রেটিং সেরাম ইত্যাদি। এদের মূল কাজ হল ত্বকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা যোগানো। যেহেতু এগুলো জলের মতো পাতলা হয় তাই আগে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর এগুলো ব্যবহার করবেন। যদি টোনার আর এসেন্স দুটোই ব্যবহার করেন তাহলে আগে টোনার তারপর এসেন্স ব্যবহার করবেন। অনেকেই রাত্রে একাধিক বুস্টার ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আগে সবচেয়ে পাতলা বুস্টার তারপর সব শেষে সবচেয়ে ঘন বুস্টার ব্যবহার করবেন।


৩। হাইড্রেটিং মাস্ক বা ফেস অয়েল
আপনার ত্বক যদি একটু বেশি শুষ্ক হয় তাহলে এই ধাপ আপনার জন্য। আপনার ত্বকের যদি একটু বাড়তি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি এই হাইড্রেটিং মাস্ক বা ফেস অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
৪। আই ক্রিম
আইক্রিম শুধু ফাইন লাইন ও ডার্ক সার্কলই রোধ করে না অন্যান্য প্রসাধনী যা আপনি মুখে ব্যবহার করছেন তার থেকেও চোখের আশেপাশের সূক্ষ্ম ত্বককে রক্ষা করে। তাই রাত্রেও এটি ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে।
৫। ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম
রাতের স্কিন কেয়ারের সপ্তম ও শেষ ধাপ হল নাইট ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার। নাইট ক্রিম একটু ঘন হয় কারণ এটি সারারাত কাজ করে। তাই রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই ফিরে আসে।