চুলের যত্ন – HAIR CARE

ত্বকের যত্ন নেয়ার মতো চুলের যত্ন করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  নিচের চুলের যত্নের টিপস গুলো আপনাকে সাহায্য করবে স্বাস্থকর চুল পেতে।

১. সাধারণত সপ্তাহে কমপক্ষে ২বার চুল ধোয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।  কারণ ঘন ঘন চুল ধোয়ার ফলে চুলের প্রয়োজনীয় ন্যাচারাল সিরাম নষ্ট হতে পারে।  মাথার ত্বক ও চুল শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

২. তবে যাদের চুলে খুশকি আছে তাদের প্রায়ই চুল ধুতে হতে পার।  চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে ৩/৪ বার চুল ধোয়ার পরামর্শ দিতে পারে।

৩. উপযুক্ত শ্যাম্পু বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  কিছু আন্টি ড্যানড্রাফ এবং রেগুলার শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান থাকে যেমন সালফেট, যা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে দিতে পারে এবং চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। যার ফলে চিরুনি ব্যবহার করলে চুল ভেঙে যায়।

৪. অল্প ময়শ্চারাইজিং সমৃদ্ধ শ্যাম্পুগুলি ব্যবহার করুন। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে অবশ্যই ভালোমানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এরপর চুল ধোয়ার সময় মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। চুল ধোয়ার পর চুল তোয়ালে মুড়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।

৫. কন্ডিশনার এর পাশাপাশি মাসে অন্তত ২বার প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন। এটি চুলে আদ্রতা যোগ করে। তবে এমন তেল ব্যবহার করবেন যেটি সহজে চুলে মিশে যায় যেমন অর্গান অয়েল।

৬. কোঁকড়ানো চুল সহজেই জট পাকিয়ে যেতে পারে, ফলে ব্রাশ করার সময় চুল ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। তাই চুল আঁচড়ানোর পূর্বে হালকা ভেজা চুলে লিভ অন সিরাম ব্যবহার করবেন। চুল ভেজা না থাকলে পানিতে ভরা স্প্রে বোতল ব্যবহার করতে পারেন।

৭. ঘুমের সময় নড়াচড়ার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।  এছাড়াও কিছু কাপড় থাকে যে মাথার ত্বক থেকে আদ্রতা শোষণ করতে পারে। এই সমস্যাগুলি এড়াতে মসৃন কাপড়, সিল্ক অথবা শার্টিন এর কাপড় দিয়ে চুল হালকা করে বেঁধে রাখতে পারেন।  সিল্ক অথবা মসৃন কাপড়ের বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

৮. হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।  পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার ও চুলের বেশ ক্ষতি করে। যতটুকু সম্ভব কম ব্যবহার করার পরামর্শ রইলো।

৯. শক্ত ব্রেইড করাও কিন্তু চুলের জন্য ভালো না।  বিশেষ করে যারা রেগুলার ব্রেইড করেন তাদের চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যতটা সম্ভব ঢিলে ব্রেইড করুন। হালকা ব্রেইড করা উচিত যা মাথার ত্বক টানবে না।

১০. প্রতি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগা গুলো ১ অথবা ১.৫ ইঞ্চি কেটে ফেলুন। এতে আপনার চুলের রুক্ষতা কমে যাবে।

১১. আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে চুলে কালার করা থেকে বিরত থাকুন। আর কালার করে থাকলে একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন লেবু ও মধু মিক্স করে।  এটি চুলের লাইটেনের কাজ করে।  পানির সাথে লেবুর রস মিক্স করে বাহিরে যাওয়ার আগে চুলে স্প্রে করতে পারেন অথবা আপনার চুল ধোয়ার পানির সাথে কিছুটা মধু মিশিয়েও চুল ধুতে পারেন।শুষ্ক হয়ে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *