সুন্দর ফ্ললেস মেকআপ পেতে ভালো মেকআপ প্রডাক্টের সাথে চাই সতেজ ও পরিস্কার ত্বক। অনেকেই মনে করে নামী দামী ব্র্যান্ডের প্রডাক্ট ব্যাবহার করলে তার আগে ত্বক প্রস্তুত করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু লংলাস্টিং ফ্ললেস বেস পেতে হলে তাই ত্বকের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া দরকার। ত্বক টানটান, সতেজ থাকলে তার উপর ফাউন্ডেশন, কনসিলার, ব্রোঞ্জার ও অন্যান্য মেকআপ প্রডাক্ট ভালোভাবে সেট হয়ে যায়, তা ছাড়া মেকআপ লংলাস্টিং ও হয়। কাজেই মেকআপ করার আগে ত্বকের এমন কিছু প্রাথমিক যত্ন নিন যাতে ত্বক থাকে ঝলমলে ও দীপ্তিময়।
এক্সফোলিয়েটিং ফেসওয়াশ:
মেকআপ শুরু করার প্রথম ধাপ হল মুখ ধোওয়া, আর ধুতে হবে এমন ফেসওয়াশ দিয়ে যা মুখ থেকে তেলময়লার পাশাপাশি মৃত কোষও তুলে দিতে পারে। আপনাকে ত্বকের ধরনের উপযোগী স্ক্রাবিং ফেসওয়াশ কিনতে হবে। মুখ ধোওয়ার সময় স্ক্রাবিং ফেসওয়াশ মুখে হালকা ঘষে নিন যাতে হোয়াইটহেডস বা ব্ল্যাকহেডস থাকলে উঠে যায়, ডেড সেলও পরিষ্কার হয়ে যায়। এভাবে মুখ ধুলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি উজ্জ্বলতা ও মসৃনত্বক পাবেন।
বরফ ঘষুন:
মুখ ধোওয়ার সময় ত্বকের পোরস গুলো প্রসারিত হয়ে যায়, বরফের কাজ তা সঙ্কুচিত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। তাছাড়া বরফ ব্যাবহারে ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে বরফ মুড়ে সারা মুখে আলতো করে বুলিয়ে নিন। মুখে বরফ ঘষার আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে। বরফ মুখে রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তুলে একটা বাড়তি আভা এনে দেয়, পাশাপাশি চোখের ক্লান্তভাবও কাটিয়ে তোলে।
হাইড্রেটিং ক্রিম মাখুন:
মেকআপ করার আগে মুখে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ়ার বা হাইড্রেটিং ক্রিম এ্যাপ্লাই করতে হবে। অবশ্যই ত্বকের ধরনের সাথে মিলিয়ে ময়শ্চারাইজ়ার বা হাইড্রেটিং ক্রিম ব্যাবহার করতে হবে। মেকআপ শুরু করার আগে সারা মুখে আর গলায় খুব ভালো করে ক্রিম মেখে নিন যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে। আর্দ্র ত্বকে মেকআপ ব্লেন্ড করতে সুবিধা হয় এবং হাইড্রেটেড ত্বকে মেকআপ সেটও হয় দ্রুত।
লিপ বাম:
মুখের মতো ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে যায়, তাই মুখে যেমন ময়শ্চারাইজ়ার মাখছেন তেমনি ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য প্রতিদিন অবশ্যই লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন লিপবাম ব্যাবহার করলে ঠোঁটের মৃত কোষ দুর করে ঠোঁট কোমল করবে, এছাড়া লিপস্টিকের ফিনিসিং ও স্মুদ হবে।